2019 এর শেষদিকে একটা অনুসন্ধান চালিয়েছিলাম বাংলাদেশে LGBT বিস্তারের প্রজেক্টসমুহের উপর। এক ভয়ানক বাস্তবতার মুখোমুখী হয়েছিলাম। মানবতার অতন্দ্র প্রহরী জাতিসংঘ নিজস্ব অর্থায়নে সদস্যদেশগুলোয় বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে LGBT প্রচার-প্রসার ও সমাজে এর গ্রহনযোগ্যতা তৈরি এবং একে নরমালাইজ করার জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট পরিচালনা করে আসছে 2006 থেকে। UNESCO, SAVE THE CHILDREN, ROYAL AMBASSY OF NETHERLAND, BRITSH AMBASSY, CANADIAN AMBASSY, RCC, ICDDR-b, BRAC ......-এর অধীনে খাতা-কলমেই চলছে এসব প্রজেক্ট। প্রজেক্টগুলো সমাজের মূলধারায় প্রয়োগের জন্য থাকে আরো সহযোগী কিছু সংগঠন, যারা টেকনিক্যাল পার্টনার নামে পরিচিত। আর এদের মধ্যে রয়েছে BRACK EDUCATION PROGRAMME, RHSTEP, BONDHU, BAPSA, BYLC, 10 MINUTE SCHOOL-সহ আরো অনেক সংস্থা। আবার এদের কাজর পদ্ধতি ও বিভিন্ন, কেউ কাজ করে প্রকাশ্যে...আবার কেউ থাকে পরিবেশ নরমাল করার দায়িত্বে। এসব প্রজেক্টের কাহিনীর প্যাচাল পাড়া আমার পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।
.
তো এখন ফুলদমে চলছে নরমালাইজেশন, যার যুত প্রমাণ হলো এই নারী-দিবস উপলক্ষে দেশের সব কোম্পানীর বিজ্ঞাপন, পত্রপত্রিকা আর দূর্গতিশীল (প্রগতিশীল)-দের গালভরা বয়ানগুলো......একজন মুসলিম এগুলোর কোনো একটা বিষয়ের সাথে সহমত হওয়ার সাথে-সাথেই ইমানের সীমানা পেড়িয়ে কাফির হয়ে যাবে [ইমান ভংগের কারণ দ্রষ্টব্য]।
.
তো 10 MINUTE SCHOOL এর আলোচনা এখানে কেন আনলাম!!! এরাই এদেশের শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপকভাবে চালিয়েছে এই নরমালাইজেশনের কাজ, আর হয়েছে ও সফল......এই সাকিব বিন রশিদ হলো ব্রাকের সেই এজেন্ট যার মাধ্যমে এদেশের শিক্ষিত যুবসমাজ সেক্স এডুকেশনের নামে ফ্রি-মিক্সিং শিখছে...ব্যাপকভাবে পর্ণোগ্রাফি ব্রাউজিংকে যৌন শিক্ষার মাধ্যম বানিয়েছে আর এর ফলাফল দারিয়েছে LGBTQ এর প্রতি যুবসমাজের গ্রহণযোগ্য মনোভাব।
.
অনেকেই এসব ঘটনাগুলোকে শুধুমাত্র ফেমিনিযম এর প্রচার পর্যন্তই মনে করে। কিন্তু যাদের ফেমিনিযমের দৌড় সম্পর্কে জানা আছে তারা খুব সহজেই ঘটনাগুলোকে রিলেইট করতে পারবে।
.
তো বলছিলাম 10 MINUTE SCHOOL এর কথা। এরা তাদের সফল ক্যারিয়ারের মূলা ঝুলিয়ে পপুলারিটি ব্যবহার করে এই নরমালাইজেশন ফেরি করে বেড়াচ্ছে...... যুবসমাজের উপড় সফলভাবে মনস্তাত্ত্বিক আগ্রাসন চালিয়ে ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছে 10 MINUTE SCHOOL। কিভাবে বুঝবেন??? যদি আপনি এসব সেলিব্রেটিদের টাইমলাইনে ঘুরে আসেন দেখবেন লাখ-লাখ তরুণ-তরুণী কিভাবে তাদের ইমান-টাই খুইয়ে বসে আছে...[ইমান ভঙ্গের কারণ দ্রষ্টব্য]
.
আসলে সেকুলারদের এসব প্রজেক্টের আসল উদ্দেশ্য হলো সমাজ হতে ইসলামী মূল্যবোধ উঠিয়ে নেয়া...[ আসলে ইসলামকেই ধ্বংস করা], যার উপায় হলো পারিবারিক সিস্টেমকে নষ্ট করে ফেলা। আর পবিত্র ইসলামি পারিবারীক ব্যবস্থা-কে ধ্বংস করার জন্য-ই মূলত তাদের এত প্রয়াস-এত প্রজেক্ট...সেক্স এডুকেশন-ফ্রি-মিক্সিং-পর্ণোগ্রাফি-ফেমিনিযম-LGBTQ
.
তো যারা সফল ক্যারিয়ার নামক মূলার পিছনে দৌড়াচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্ট নয়।যারা বর্তমান পৃথিবীর হাল-হাকিকত সম্পর্কে যতকিঞ্চিত ধারনা রাখেন এবং ক্যারিয়ারের পেছনে পাগলের মত ধেয়ে চলা মরিচিকা হতে বের হতে চান তাদের জন্য সামান্য চিন্তাভাবনাই যথেষ্ঠ।
.
আর একদল আছে নিজেকে মুমিন ও মনে করে আবার এসব শয়তান-কেও ভালোবাসে-অনুসরণ করে, এরা না ঘারকা-না ঘাটকা, এরা হারিয়ে যাওয়ার জন্যই...এরা হারিয়ে যাবেই...তো যারা এই মরিচিকায় হারিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদেরকে এক বদনা নারীদিবসের শুভেচ্ছা..
.



(প্রজেক্ট লিঙ্ক- https://simavi.org/what-we-do/programmes/unite-body-rights-ubr-2/ , https://simavi.org/what-we-do/programmes/unite-for-body-rights-ufbr/)
.
Post Courtesy: Faysal Hossain