Published on

একেই বলে সভ্যতা (প্রথম পর্ব) !!!

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম ।

এক.

উত্তর প্রদেশ ।

ইন্ডিয়া ।

নিরিবিলি এক আখক্ষেতের মধ্যে স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ে বসে আছে ।

একদঙ্গল কামে উন্মত্ত পুরুষ তাকে ঘিরে ধরে আছে । মেয়েটি অসম্ভব কাপছে ,ফাঁদে পড়া হরিণীর মতো ভীত চোখে সে বারবার চারপাশে তাকাচ্ছে । মনে ক্ষীণ আশা, কেউ বুঝি তাকে উদ্ধার করবে এই পশুদের হাত থেকে । কিন্তু না, শেষ রক্ষা হলো না । বুনো শুয়োরের মতো ঘোত ঘোত করে একজন হেসে উঠলো । মানুষরূপী একটা পশু ঝাঁপিয়ে পড়লো অসহায় মেয়েটার ওপর ।

বিশ্বাস করতে প্রচন্ড কষ্ট হয়, অসহায় এক মেয়ের ওপর অত্যাচারের এই জঘন্য ঘটনা কেউ ভিডিও করে অনলাইনে আপ্লোড করে দিবে আর হাজার হাজার মানুষ সেটা দেখে মনের এবং হাতের সুখ মেটাবে । মানুষের পক্ষে কি এতটা নিচে নামা সম্ভব ? যুগ যুগ ধরে মানবতার জয়গান গেয়ে লিখা সবগুলো কবিতাই কি মিথ্যে ?

কিন্তু বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ইন্ডিয়ার উত্তর প্রদেশে প্রতিনিয়ত এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটে চলেছে

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে ভারতের উত্তরপ্রদেশের দোকানগুলোতে পুলিশ এবং প্রশাসনের নাকের ডগার নিচে অসহায় মেয়েদের উপর চালানো অত্যাচারের ভিডিও বিক্রী করা হচ্ছে । প্রতিদিন শত শত , আসলে শত শত নয় হাজার হাজার রেপ ভিডিও বিক্রি করা হচ্ছে যেগুলোর মূল্য ৫০ রুপী থেকে ১৫০ রুপী ।

এক দোকানে একলোক কেবল গোঁফ উঠতে শুরু করেছে এমন এক ছোকরাকে বলছে, ” জানিস আমি বোধহয় এই লেটেস্ট, হটেস্ট ভিডিওর এই মেয়েকে চিনি” । ভিডিওটাতে সদ্য বিশের কোঠা পার হওয়া এক মেয়ের উপর দুইটা পশু অত্যাচার করছে । অসহায় মেয়েটির কন্ঠে আকুতি ঝরে পড়ছে , “ মাফ ক্যারো, মাফ ক্যারো । কমসে কম ভিডিও তো মাত উঠারো” ।

এক সিনিয়র পুলিশের ভাষ্যমতে রেপের দৃশ্য ভিডিও করে রাখা হয় ভিক্টিমকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য । পুলিশের বিভিন্ন উৎস থেকে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে প্রশাসন কোনমতেই এই জঘন্য ঘটনাগুলো বন্ধ করতে পারবে না ।[১]

আল জাজিরার ভিডিও প্রতিবেদন - http://bit.ly/2fsTzmV

যে সব দেশ গুলো থেকে সবচেয়ে বেশী পর্নমুভি দেখা হয় তাদের মধ্যে ইন্ডিয়া তিন নম্বরে । ইন্ডিয়ান মহিলারও ব্যাপক হারে পর্ন দেখছে ইদানীং [২,৩] ।

একটা প্রদেশে চালানো জরিপ থেকে দেখা যায় ৪০ শতাংশ পুরুষ “রেপ পর্ন” দেখে [৪] ।

আইটেম সং, ইন্ডিয়ান মুভির, মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে তো সবসময় সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছেই ।

ইন্ডিয়াতে প্রতি ২০ মিনিটে একটা করে রেপ হচ্ছে[৫] । বিশ্বের যে দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশী রেপের ঘটনা ঘটে তার প্রথম ১০ টি দেশের মধ্যে ইন্ডিয়া রয়েছে [৬,৭] ।

ইন্ডিয়াতে প্রচুর পরিমান চাইল্ড এবিউজের ঘটনা ঘটে। বিশ্বের অনেক দেশের গনমাধ্যমেই এ ব্যাপারে অনেক রিপোর্ট হয়েছে [৮,৯,১০] । এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বেশী চাইল্ড এবিউজ হয় এমন পাঁচটা দেশের শর্টলিস্টেও রয়েছে ইন্ডিয়ার নাম [১১]

আর কত মা, বোন ধর্ষিত হলে আমরা বুঝবো নারীস্বাধীনতা আর প্রগতিশীলতার সব বুলি ফাঁপা ? মিথ্যে , প্রতারনা , ধোঁকা ?

আর কত শিশু যৌন নিপীড়িত হলে তবে আমাদের হুঁশ ফিরবে ?

আর কত বোনের ঘর ভাংলে, আর কত বোন আত্মহত্যা করলে তবে আমরা চিনবো আমাদের আসল শত্রুকে ?

#know_your_enemy

#একেইবলেসভ্যতা

#নারী_স্বাধীনতা

দুই.

প্রিয় বন্ধুরা,

আর তিন দিন মাত্র বাকি। তারপরেই আমি All Boys Private High School থেকে গ্রাজুয়েট করে ফেলব। বলতে গেলে আমি কখনই পর্নমুভির ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারিনি। ৪ বছর পূর্বে আমি যখন সবে মাত্র স্কুলে ভর্তি হলাম, তখন বুঝতে পারলাম এটা কতটা ভয়ংকর হতে পারে।

সেই দিনের সব কিছুই আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমার মা স্কুলের কর্তৃপক্ষের সাথে একটা মিটিং করে ফিরলেন। আমাকে কাছে ডেকে বললেন-"দেখ বাবা, আজ তোমার স্কুলের কর্তৃপক্ষ আমাকে সতর্ক করলেন পর্নমুভির ব্যাপারে।"

আসল সমস্যাটা হল, কোন বাবা-মা’ই বিশ্বাস করতে চাননা তাদের সন্তান পর্ন দেখে। খুব কম বাবা-মা’ই তাদের ১২-১৩ বছরের ছেলের ফোন বা পিসি চেক করেন।

আরেকটা সমস্যা হচ্ছে স্কুলের কর্তৃপক্ষ মনে করে যে বাচ্চারা পর্নের ভয়াবহতা ভাল করেই জানে। কিন্তু এটা মোটেও সঠিক নয়।

স্কুলের প্রথম সপ্তাহে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমি বরাবরই একটু লাজুক স্বভাবের। চুপচাপ তাদের কথাগুলি শুনছিলাম। "নতুন ভিডিওটা দেখেছিস ? আরে ঐ যে ঐ ভিডিওটা !, জানিস, সেদিন একটা নতুন ওয়েব-সাইট পেয়েছি।"

বুঝতে পারছিলাম না ওরা কি নিয়ে কথা বলছে। এই ধরনের ছেলেদের সাথে আমি আগে কখন ওঠাবসা করিনি।

এই ভাবেই দিন কাটতে থাকল। আড্ডা দিতে বসলেই এই ধরনেরে কথা শুরু হত।

একদিন, একজন আমাকে প্রশ্ন করল, "এই, তোর পছন্দের ওয়েব-সাইট কোনটা ?"

আমি বললাম-"আমি পর্ন দেখিনা"।

সঙ্গে সঙ্গে হাসির রোল পড়ে গেল। একজন মন্তব্য করল,"তুইতো দুধের বাচ্চা। যা বাড়ি গিয়ে আম্মুকে বল ফিডার খাব"। আর একজন হাসি থামিয়ে, সিরিয়াস হয়ে বলল-"যা ব্যাটা চাপা মারিস না। পৃথিবীতে সবাই পর্ন দেখে।"

বুঝলাম- পর্ন শুধু বড়দের সমস্যা নয়, এটা বর্তমানে বিশ্বের প্রয় সবার সমস্যা।

পরের বছরই অবাক হয়ে দেখলাম আমার ঐ বন্ধুগুলা পর্নের প্রভাবে কতটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে।

তারা তাদের গার্লফ্রেন্ডের সাথে একান্ত মুহূর্তের ছবিগুল সবার সাথে শেয়ার করতে শুরু করল। রসালো , রগরগে মন্তব্য করাও থেমে থাকল না।

গার্লফ্রেন্ডদের শরীর নিয়েই তাদের যত আগ্রহ। কেউ ভুলেও প্রশ্ন করেনা যে তাদের গার্লফ্রেন্ড মানুষ হিসেবে কেমন ? বই পড়তে ভালবাসে কিনা ? ডাকটিকেট জমানর শখ আছে কিনা ?

আমার মনে হত তারা তাদের গার্লফ্রেন্ডদের ভোগ্য পণ্যের মত 'ইউজ' এবং 'এবিউজ' করছে। ইচ্ছেমত মজা কর তাদের সাথে তারপর ভাল না লাগলে বা পুরোনো হয়ে গেলে ছুড়ে ফেলে দাও। ভালবাসা তাদের কাছে এতটাই সস্তা।

তাদের এই অধঃপতন এবং নারী জাতির প্রতি এমন মনোভাব একটা জিনিসেরই ফসল আর তা হল 'পর্নোগ্রাফি আসক্তি'।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল- পর্ন দেখা এবং নারীদের নিয়ে এমন 'ছিনিমিনি' খেলা পৌরষের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে যত নিচে নামতে পারবে, যার 'প্লে-বয়' ইমেজ যত বেশি সে তত বেশী আসল পুরুষ।

যারা নারীদেরকে আসলেই সম্মান করে, নারীর শরীরটা নয় বরং তার মনটাকেই যারা প্রাধান্য দেয়; আজকাল তাদের নিয়ে রসিকতা করা হয়। নপুংসক,হিজড়া এরকম হাবিজাবি আরও কত কি বলা হয়। [১২]

তিন.

....রাতে আমার মা যখন অফিসে থাকত তখন আমার পিতা আমাকে খুব খারাপ ভাবে স্পর্শ করত এবং আরো অনেক কিছু করতো । আমি তখন খুব ছোট, মাত্র ১০ বছর বয়স ।

যে দিন জানতাম আমার মা আজ রাতে বাসায় থাকবেনা, সেদিন আমার সারাদিন খুব অস্বস্তিতে কাটত, আতঙ্কে থাকতাম এই ভেবে যা না জানি রাতটা কীভাবে কাটবে !

আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে এতটাই ভীত ছিলাম যে কাওকে কোনদিন এইনিয়ে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারিনি। বাবা আমাকে সবসময় চাপ দিত- যেন আমি মুখ বন্ধ করে রাখি - মা জানতে পারলে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেবে।

স্কুলের এমন কোন বন্ধু ছিলনা যাদের সাথে আমি এটা শেয়ার করতে পারতাম । ৪ বছর ধরে আমি এই নরকযন্ত্রণা ভোগ করেছি। [১৩]

চার.

যুক্তরাজ্যে কিশোর ভাইয়ের হাতে ধর্ষিতা হয়েছে তার ৮ বছরের বোন। ১৩ বছরের ওই কিশোর বাড়িতে পর্নো ছবি দেখার পর নিজের বোনকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত বোনকে চিকিৎসা দেওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘটনার দিন তাদের বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। ওই কিশোর তখন তার এক বন্ধুর সঙ্গে এক্সবক্স গেমস কনসোলে পর্নো ছবি দেখে। ঘটনার পর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

পরে সে পুলিশকে জানায়, অনলাইনে দেখা ছবির কিছু অংশ সে কপি করে রাখে। এরপর সে ছবির নায়ক-নায়িকা যেসব যৌনক্রিয়া করেছিল সেগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা চালায় এবং নিজের বোনের ওপর চড়াও হয়। নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলে, বয়স কম হওয়ায় সে তার বোনকেই বেছে নিয়েছিল। আইনগত কারণে ওই কিশোরের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত বুধবার ছেলেটিকে ইংল্যান্ডের ব্ল্যাকবার্ন আদালতে হাজির করা হয়। ম্যাজিস্টেটের কাছে সে নিজের দোষ স্বীকার করেছে তবে তাকে তার পরিবারের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর সে বর্তমানে এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।

এই ঘটনা গোটা যুক্তরাজ্যে অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। কেননা ভিডিও গেমস খেলার যন্ত্রের মাধ্যমে শিশুরা সহজেই অনলাইনের পর্নো সাইটগুলোতে যেতে পারে। অনেকে অবশ্য যন্ত্রটি কেনার সময়ই দোকানিদের সহায়তায় পর্নো সাইটগুলো ব্লক করে দেন। তবে এতেও কাজ হচ্ছে না। বাড়িতে থাকা অন্যান্য উপকরণ যেমন এক্সবক্স, প্লে-স্টেশন, আইপড ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিশুদের পক্ষে নিষিদ্ধ সাইটগুলোতে সহজেই প্রবেশ করে ডাউনলোড করা সম্ভব। সূত্র : দ্য মিরর [১৪]

ঘটনাগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পাশ্চাত্যের ঘরে ঘরে এগুলো খুবই সাধারণ ঘটনা। আগ্রহী হলে পড়তে পারেন এই লিংকের [১৫] লিখাগুলো ।

পাঁচ.

আমি জানি এই আর্টিকেলের [১৬] সবটুকুই সত্য, কারণ আমি বেড়ে উঠেছি 'জার্মানিতে'। আমি জানি এই সভ্যতা কতটা পচে গেছে। বিশেষ করে বিজ্ঞাপন গুলো । আপনি কখনই এই অশ্লীল বিজ্ঞাপন থেকে বাচতে পারবেন না । টিভি,ম্যাগাজিন,নিউজপেপার... কোথায় নেই ? ছোট থেকেই আপনাকে শেখানো হবে এগুলি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।

সিক্সত গ্রেডে পরার সময়কার একটি ঘটনা। 'সেক্স এডুকেশন' ক্লাসে টিচার খুব বড় একটা কাগজ নিয়ে এসে, আমাদের বললেন-" যৌনতা সম্পর্কে যা যা মনে আসে সব এখানে লিখ, যৌনতার নিয়ম কানুন গুলো লিখতে ভুলনা যেন!! লেখ শেষ হলে আমরা এগুলি নিয়ে আলোচনা করব।"

কি ভয়ংকর অবস্থা, তাইনা ? তবে আমি আপনাকে কখনই বলবনা স্কুলে আমাদের কতটা গ্রাফিক, কতটা অশ্লীল সাহিত্যের বই পড়তে দেয়া হত। ওইসব কথা মনে করতেই আমার রুচিতে বাধে ।

আমি কখনই চাইবো না আমার ছেলেমেয়েরা জার্মানীতে বেড়ে উঠুক ।

---Sebastian Bradley.

চলবে ইনশা আল্লাহ্‌ ......

#একেইবলেসভ্যতা

[লস্ট মডেস্টি অনুবাদ টিম কর্তৃক অনূদিত]

পড়ুন-

মুখোশ উন্মোচনঃ পর্ব-১: https://bit.ly/2OhCeO0 মুখোশ উন্মোচনঃ পর্ব-২: https://bit.ly/2Ms17VA মুখোশ উন্মোচনঃ পর্ব- ৩ https://bit.ly/2p6dopk একেই বলে সভ্যতা (দ্বিতীয় পর্ব) !!!: https://bit.ly/2xbpnW5 এরই নাম স্বাধীনতা !!!: https://bit.ly/2xcsUnn এরই নাম স্বাধীনতা!!! দ্বিতীয় পর্ব - https://bit.ly/2xce9kq এরই নাম স্বাধীনতা!!! তৃতীয় পর্ব-https://bit.ly/2MxnRna পাশ্চাত্যে বেড়ে ওঠা: https://bit.ly/2p1Irme নারী যখন পন্য: https://bit.ly/2OilZQH অভিশপ্তনগরী: https://bit.ly/2MumYeW

“****” ম্যাম গার্ড পড়ছিলঃ বুঝতে পারছিলাম না, প্যান্ট সামলাবো নাকি কলম !!! - https://bit.ly/2x3Krif

রেফারেন্সঃ

[১] http://bit.ly/2azmaGv

[২] http://tinyurl.com/jy5d6zf

[৩] http://tinyurl.com/z2qxzdw

[৪] http://preview.tinyurl.com/jl2ttct

[৫] http://tinyurl.com/hy2xphf

[৬] http://tinyurl.com/zlfdcuw

[৭] http://tinyurl.com/z2x8oz7

[৮] http://tinyurl.com/gwqhbta

[৯] http://tinyurl.com/zgs665u

[১০] http://tinyurl.com/hos7vdl

[১১] http://tinyurl.com/ld4zxd9

[১২] ঘটনাটি www.fightthenewdrug.com থেকে সংগৃহীত।

[১৩] http://tinyurl.com/hjq2a29

[১৪] http://tinyurl.com/zerbb5v

[১৫] http://www.antipornography.org/harm_stories.html

[১৬] http://fightthenewdrug.org/germanys-legalized-prostitution-industry-looks-like-a-real-life-horror-movie/